শপথ ত্বীন ও যায়তূন-এর (যা জন্মে সিরিয়া ও ফিলিস্তিন এলাকায় যে স্থান বহু পুণ্যময় নবী ও রসূলের স্মৃতিতে ধন্য)
মহান আল্লাহ দেড় হাজার বছর আগে পবিত্র কোরআনে জয়তুন এবং ত্বীন ফলের নামে কসম খেয়েছেন। দেড় হাজার বছর পর বিজ্ঞানীরাও প্রমান করেছেন জয়তুন এবং ত্বীন আমাদের শরীর এর জন্য কতটা উপকারী।
৭টি জয়তুন ও ১টি ত্বীন ফল নিয়মিত সেবনের উপকারিতা:-
জয়তুন, ত্বীন এবং মধু নারী ও পুরুষের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও জিংক সমৃদ্ধ জয়তুন, ত্বীন ও মধু কে যৌন পরিপূরক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জয়তুন, ত্বীন এবং মধু শারীরিক দুর্বলতা দূর করে পুরুষের হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রক্ত স্বল্পতা দূর করে, শিশুদের দৈহিক গঠন ও ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, ত্বীন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের শক্তি বাড়ায়।
জয়তুন ত্বীন ও মধু তারুণ্য ধরে রাখে এই ৩টি খাবারের ভেতরে থাকা ভিটামিন সি এবং এর অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বককে করে তোলে আরও কোমল এবং মসৃণ।
ত্বীনের মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণের খাদ্য আঁশ পেটের সমস্যার জন্য খুব ভালো কাজ করে, কোষ্টকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা কমাতে ও সহায্য করে।
জয়তুন এবং ত্বীন মহিলাদের অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর করে এবং মাসিক চলাকালীন সময়ের ব্যথা দূর করে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, মেনোপজ পরবর্তী পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে ত্বীন সাহায্য করে। আঁশ সমৃদ্ধ ত্বীন ফল সেবন করা ৩৪% মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম দেখা দিয়েছে।
জয়তুন, ত্বীন এবং মধু একজন গর্ভবতী মহিলার পাশাপাশি তার গর্ভস্ত শিশুটিরও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে এবং গর্ভস্থ শিশুর উজ্জ্বল ও মসৃন ত্বক প্রদান করে।
জয়তুন এবং ত্বীন ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এবং রক্তের বাড়তি কোলেস্টেরল দূর করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এর পটাশিয়াম হাইপার টেনশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, ত্বীন ট্রাইক্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে হার্ট ভালো থাকে। এছাড়াও ত্বীনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাংগানিজ যা বয়সজনিত অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
জয়তুন, ত্বীন এবং মধুর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। এছাড়াও ত্বীন ও জয়তুনের উপকারিতা নিয়ে অসংখ্য রিসার্চ রয়েছে যা আপনি গুগল সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।